সারা দেশব্যাপী শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা।
পরীক্ষায় বরাবরের মতো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় বিভিন্ন প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী দেরি করে কেন্দ্রে আসলে, তাকে সুনির্দিষ্ট কারণ লিখিত আকারে জমা দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
এ বছর মোট ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন। এবার জেএসসিতে ২২ লাখ ৬০ হাজার ৭১৬ জন ও জেডিসিতে ৪ লাখ ৯৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
সারা দেশে মোট ২৯ হাজার ২৬২টি পরীক্ষা কেন্দ্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর ২৯ হাজার ৬৭৭টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
পরীক্ষায় এক, দুই ও তিন বিষয়ে অকৃতকার্য জেএসসিতে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৩২ জন ও জেডিসিতে ২১ হাজার ৯৭৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া বিদেশে মোট ৯টি কেন্দ্রে ৪৫৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
পরীক্ষায় ৭টি বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। ইংরেজি ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা-২০১৯ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। যদি কেউ এ সময়ের পরে আসে তবে তার কারণ ও যাবতীয় তথ্য লিখে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিতে হবে। সেই তথ্য পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠাতে হবে।’
চলতি বছর থেকেই পাবলিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ জিপিএ-৪ শুরু করার করার ঘোষণা ছিল সরকারের। এটি শুরু করার কথা ছিল জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) থেকেই। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে সমন্বিত সিদ্ধান্ত আসেনি। তাই এবারো জুনিয়র পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৪ করার সিদ্ধান্ত এ বছর কার্যকর হবে না। ফলে এবারো জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলে সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ থাকছে।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর সর্বোচ্চ জিপিএ ৪ শুরু করার করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। এটি আগামী বছর থেকে শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এনিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আগামী বছর যে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হবে, সেটা থেকে ইন্ট্রোডিউস করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’
ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, ‘প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষায় নিয়মিত ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। কোনো বছর অনিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হলে সংখ্যাগত দিক থেকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম দেখায়। তবে, এখনো ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার অনেক বেশি। এটি ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা হচ্ছে। এ জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ে ‘মিড ডে মিল্ক’ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক আনন্দপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে। বৃত্তি ও উপবৃত্তির হার ও অর্থের পরিমাণও বাড়ানো হচ্ছে।’
Leave a Reply